স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোমিন পাঠান দীর্ঘদিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও নিয়মিতভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন। কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা এবং পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. কামরুল হাসান মুরাদের সহযোগিতায় এ অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, একসময় মোমিন পাঠান ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন। এখন যখন তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তখনও তাকে গ্রেপ্তার না করায় বিএনপির ভেতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত এক জনসভায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আয়নুল হক প্রকাশ্যে এ ক্ষোভের কথা জানান।
২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর, মকিমপুরের বাসিন্দা এবং বিএনপি সমর্থক মো. আলমগীর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রায়গঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-১৭), যেখানে ৩৯ নম্বর আসামী হিসেবে মোমিন পাঠানের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে থাকলেও মোমিন পাঠান প্রকাশ্যে রাজনৈতিক এবং পেশাগত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, “ফোনে কিছু বলবো না, কলেজে এসে কথা বলুন।” অন্যদিকে, কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. কামরুল হাসান মুরাদ জানান, মোমিন পাঠান দীর্ঘদিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও তিনি মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। তবে সেটি যথাযথ না হওয়ায় তিনি ছুটি অনুমোদন করেননি। তিনি আরও বলেন, হয়তো সম্মিলিত সিটে স্বাক্ষর নেওয়ার কারণে বেতন ভাতা উত্তোলন হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ থানার ওসি এ এম মাসুদ রানা জানান, “রায়গঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে মোট চারটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। আমরা নজরদারি করছি, আইনের বাইরে কেউ যেতে পারবে না।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু বিএনপি নেতার সঙ্গে আপসের মাধ্যমে মোমিন পাঠান তার অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত ও ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জবাবদিহির মুখে পড়ছেন।
0 Comments